You are currently viewing আলেমের হালাকায় ইলম

আলেমের হালাকায় ইলম

ড. আব্দুল বাসির বিন নওশাদ

ইলম অন্বেষণ করা একটি মহৎ ইবাদত। এটি জান্নাতে পৌঁছানোর অন্যতম পথ। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
«مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا، سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ» [مسلم[
“যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের উদ্দেশ্যে কোনো পথ অনুসরণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন” [সহীহ মুসলিম]।
শুদ্ধ ও কল্যাণকর ইলম অর্জনের সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো কোনো বিশুদ্ধ মানহাজের আলেম বা শায়খের হালাকায় বসা। কেননা, ইলম শুধু বই পড়ে হয় না, বরং এটি হৃদয় থেকে হৃদয়ে, মন থেকে মনে, শিক্ষক থেকে ছাত্রের মাঝে স্থানান্তর হয়।

ইলম অর্জনে কেন হালাকায় বসা গুরুত্বপূর্ণ?

১. বিশুদ্ধ ইলমের নিশ্চয়তা:
আলেম জ্ঞানান্বেষণকারীর ভুলগুলো সংশোধন করেন, অস্পষ্ট বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেন এবং সঠিক পথে দিকনির্দেশনা দেন।
ইমাম শাফেয়ী (র.) বলেন,
«مَنْ تَفَقَّهَ مِنَ الكُتُبِ ضَيَّعَ الأَحْكَام»
“যে কেবল বই পড়ে ফিক্বহ শিখে, সে হুকুম-আহকামকে নষ্ট করে দেয়”।
২. আখলাক ও আদব শিক্ষা:
ইলমের সঙ্গে আদব জরুরি। সাহাবীগণ বলতেন, “আমরা ইলমের আগে আলেমের আখলাক ও আচরণ শিখতাম”।
৩. বিশুদ্ধ মানহাজে ওপর থাকা:
অভিজ্ঞ ও বিশ্বাসযোগ্য আলেমের তত্ত্বাবধানে ইলম অর্জন করলে বিভ্রান্তির আশঙ্কা কম থাকে।
৪. ইলমের বাগিচায় ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া:
একজন আলেম ছাত্রকে ধীরে ধীরে উপযুক্ত বিষয়গুলো শেখান এবং ইলমের স্তরে স্তরে উন্নীত করেন এবং ইলমের স্বাদ দুনিয়াতেও উপভোগ করেন।
৫. দুআ ও বরকতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়:
হালাকায় বসলে ফেরেশতা উপস্থিত থাকে, রহমত নেমে আসে এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকটে সেই হালাকার লোকদের স্মরণ করা হয়।

অতএব, মুসলিম ভাই-বোন বই-পুস্তক, ভিডিও বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইলম অর্জনে সহায়ক হলেও, সরাসরি আলিমের তত্ত্বাবধানে শেখার বিকল্প নেই। যার কোনো শায়খ নেই, তার ভুলই বেশি হয়। তাই প্রিয় ভাই/বোন, হালাকা বা দ্বীনি পাঠচক্রে বসে নিয়মিত ইলম অর্জনের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ধৈর্য ও নিয়মিততা আপনাকে একদিন ইলমের সৌরভে ভরিয়ে তুলবে ইনশা-আল্লাহ।

Leave a Reply