একটি মুসলিম সমাজ বা রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকার আদেশ আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে তিনি বলেন,
وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ
“তোমরা তাদের জন্য শক্তি প্রস্তুত করো যতটা সম্ভব” (সূরা আল-আনফাল: ৬০)।
এই আয়াতটি কোনো ঐচ্ছিক নির্দেশ নয়, বরং এটি একটি স্পষ্ট ও দৃঢ় নির্দেশনা। মুসলমানদের অবশ্যই তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে হবে, যতটা সম্ভব শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, আজ আমরা এমন এক আত্মঘাতী মানসিকতায় আক্রান্ত: যদি আমরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রসর হই, তাহলে ইহুদি-খ্রিস্টানরা বিরক্ত হবে, হয়তো আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হবে!
এই দুর্বলতা আমাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছে, আমাদের সম্মান ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
আরও দুর্ভাগ্যজনক হলো, অনেকে ভাবে এই দায়িত্ব হয়তো ভবিষ্যতের কোনো প্রজন্ম পালন করবে, আমাদের এখন কিছু করার নেই কিছু করার দরকার নেই।
কিন্তু এই দায়িত্ব আমাদেরই। বিশেষভাবে আমাদের শাসকদের। আল্লাহ এই আদেশই দিয়েছেন আমাদেরকেই।
দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে ভবিষ্যতের ওপর ফেলে রাখার মানসিকতা এক ধরনের গাদ্দারি নিজ জাতির, নিজ উম্মাহর এবং সর্বোপরি আল্লাহর নির্দেশের প্রতি।
ইসলাম কখনো দুর্বলতার ধর্ম নয়।
ইসলাম শক্তি, সম্মান, সাহস ও ন্যায়ের প্রতীক। রাসূল ﷺ নিজেও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করেছিলেন। তিনি তীরন্দাজদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, যুদ্ধের কৌশল শিখিয়েছেন, প্রস্তুতি গ্রহণে উৎসাহিত করেছেন। সাহাবারা ছিলেন একদিকে পরহেযগার, অন্যদিকে যুদ্ধকুশলী ও সুসংগঠিত।