বিশুদ্ধ পানির প্রকল্প
💧 বিশুদ্ধ পানির প্রকল্প
আলহামদুলিল্লাহ, বিশুদ্ধ পানি মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এবং দূর-দূরান্তের চরাঞ্চলে এখনও বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রকট। ফলে মানুষ নানা রকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
• সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা।
• পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা।
• স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করা।
• দানকারীদের জন্য সাদাকায়ে জারিয়ার একটি ক্ষেত্র তৈরি করা।
বাস্তবায়ন পরিকল্পনা:
১. টিউবওয়েল স্থাপন
• গভীর নলকূপ ও হ্যান্ডপাম্প স্থাপন।
• গভীরতার ভিত্তিতে সঠিক লেয়ার থেকে পানি উত্তোলন।
২. ওয়াটারপাম্প প্রকল্প
• বিদ্যুৎ বা সৌরচালিত পাম্প স্থাপন।
• ৫০০–২০০০ লিটার ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক বসানো।
• পাইপলাইন দিয়ে আশপাশের বাড়িঘর বা মাদরাসা-স্কুলে পানি সরবরাহ।
৩. ফিল্টার সিস্টেম প্রকল্প
• মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল ও জনবহুল স্থানে ফিল্টারযুক্ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
৪. ওয়াটার ট্যাঙ্ক ও পাইপলাইন প্রকল্প
• বড় ওয়াটার ট্যাঙ্ক বসিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়িঘরে বা নির্দিষ্ট পয়েন্টে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছানো।
লক্ষ্যভিত্তিক এলাকা:
• গ্রামাঞ্চল
• পাহাড়ি অঞ্চল
• চরাঞ্চল
• শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ
উপকারভোগী:
• দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবার, মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং মসজিদের মুসল্লিগণ।
• নারী ও শিশু (যারা পানি আনার কষ্ট বহন করে)
• প্রত্যেক টিউবওয়েল থেকে প্রায় ২০–৩০ পরিবার উপকৃত হবে।
• একটি ওয়াটারপাম্প প্রকল্প থেকে প্রায় ১০০–২০০ পরিবার পানি পাবে।
আনুমানিক বাজেট (বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট)
• টিউবওয়েল (সাধারণ গভীর নলকূপ): ১৫,০০০–২৫,০০০ টাকা।
• গভীর টিউবওয়েল: ৩০,০০০–৫০,০০০টাকা।
• ওয়াটারপাম্প + ট্যাঙ্ক + পাইপলাইন: ১-৩ লক্ষ টাকা (সাইজভেদে পরিবর্তনশীল)।
সাদাকায়ে যারিয়া:
• রাসূল ﷺ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন সাদাকা সর্বোত্তম? তিনি বললেন, “পানি সরবরাহ করা” (সুনান আবু দাউদ, হা/১৬৭৯; সহীহুল জামে, হা/১১১৩)।
👉 তাই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা কল্যাণের দুনিয়াবি উপায় এবং আখেরাতের চিরস্থায়ী সওয়াবের মাধ্যম।
• রাসূল ﷺ বলেছেন, “মানুষ মারা গেলে তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি ছাড়া: সাদাকায়ে যারিয়া, উপকারী জ্ঞান এবং সৎ সন্তান যে তার জন্য দু’আ করে” (সহীহ মুসলিম)।
বাস্তবায়ন:
প্রকল্পটি ইসলামী দাওয়াহ, শিক্ষা ও মানবিক সেবার লক্ষ্যে আল-ইহসান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় বাস্তবায়িত হবে।